অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানী স্থাপনাগুলোর রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জের ধরে বিদ্যুতের যে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছিল তা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। ১০ মাস আগে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর শুক্রবার ‘অন্যতম ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ চালায় রাশিয়া।
জেলেনস্কি শনিবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, প্রায় ৬০ লাখ অধিবাসীর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপিত হয়েছে। তিনি বলেন, বিরতিহীনভাবে জ্বালানী স্থাপনাগুলো মেরামতের কাজ চলছে। তবে পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য আরো অনেক দিন ধরে কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ হামলায় ভিন্নিতসিয়া ও লেভিভ শহরের অধিবাসীরা সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন।
এর আগে দেশটির জ্বালানীমন্ত্রী জেরমান গালুশেঙ্কো বলেন, তার দেশের অন্তত নয়টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এর ফলে রাজধানী কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে। রাশিয়া বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেনের সামরিক ও জ্বালানী স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি বিদেশি অস্ত্রের চালান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। মস্কো জানায়, তাদের পরিকল্পিত সব লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার নিক্ষিপ্ত ৭৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬০টি ভূপাতিত করেছে।
Leave a Reply